ঢাকা সিটি নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়: মেয়র ৫০ লাখ টাকা কাউন্সিলর ৬ লাখ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি-ডিএসসিসি) নির্বাচনে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের কার কত টাকা জামানত দিতে হবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচনী এলাকায় ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী ব্যয় ও জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

দুই সিটিতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে যত ভোটার থাকুক না কেন, জামানত ১০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ব্যয় ৬ লাখ টাকা এবং ব্যক্তিগত ব্যয় ৫০ হাজার পর্যন্ত ধার্য করেছে কমিশন। আর মেয়র পদে প্রার্থীদের জন্য ১ লাখ টাকা জামানত, ২ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ধার্য করা হয়েছে।

এছাড়া দুই সিটিতে ভোটার অনুযায়ী ৪ ক্যাটাগরিতে জামানত ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। যেসব ওয়ার্ডে ২০ হাজারের কম ভোটার সেখানকার কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত ১০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ও ব্যক্তিগত ব্যয় ১০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। আবার ২১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার রয়েছে- এমন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ২০ হাজার টাকা জামানত, নির্বাচনী ব্যয় ২ লাখ টাকা এবং ব্যক্তিগত খরচ ২০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।

অপরদিকে ৩১ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত ভোটার থাকলে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ৩০ হাজার টাকা জামানত দেবেন। সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ও ৩০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত খরচ করতে পারবেন। এর বেশি ভোটার রয়েছেন, এমন ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর পদে ৫০ হাজার টাকা জামানত, ৬ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় এবং ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় ধার্য করা হয়েছে।

ডিএনসিসিতে সবচেয়ে কম ভোটার ৪১, ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এ তিন ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলরদের জন্য ১০ হাজার টাকা জামানত ধার্য করা হয়েছে। নির্বাচনী ও ব্যক্তিগত ব্যয়ও হবে জামানতের ক্যাটাগরি অনুসারে।

৪৪, ৪৫, ৪৬, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য জামানত ২০ হাজার টাকা। এসব ওয়ার্ডে নির্বাচনী ও ব্যক্তিগত ব্যয় হবে জামানতের ক্যাটাগরি অনুসারে।

১৮, ২৩, ২৮, ২৯, ৩১, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য জামানত ৩০ হাজার টাকা এবং বাকি ওয়ার্ডগুলোর জন্য ৫০ হাজার টাকা জামানত ধার্য করা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুসারে হবে নির্বাচনী ও ব্যক্তিগত ব্যয়।

এ সিটিতে সবচেয়ে বেশি ভোটার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ জন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ১ লাখ ৯ হাজার ৩০৩ জন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৬৮ জন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৯০ জন। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ১ লাখ ১ হাজার ৫২৬ জন। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ১৭১ জন। এ সিটিতে সবচেয়ে কম ভোটার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে- মাত্র ১১ হাজার ৭৮১ জন।

অন্যদিকে ডিএসসিসির ৩৭, ৬৯, ৭০ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে কম ভোটার হওয়ায় এ চারটি ওয়ার্ডের জন্য সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।

ভোটার বেশি হওয়ায় ৭, ৮, ৯, ১০, ২০, ২১, ২৫, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৪, ৩৫, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৫২, ৫৯, ৬৪, ৬৭, ৬৮, ৭১, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।

আর ১, ৩, ৫, ৬, ১১, ১২, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২৩, ২৪, ২৬, ২৯, ৩৩, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪৫, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৭, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার বিবেচনায় জামানত ৩০ হাজার টাকা এবং বাকি ওয়ার্ডগুলোতে ৫১ হাজারের বেশি ভোটার থাকায় এসব ওয়ার্ডের জন্য ৫০ হাজার টাকা জামানত ধার্য করেছে কমিশন।

ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচনী ও ব্যক্তিগত ব্যয় হবে জামানতের ক্যাটাগরি অনুসারে। এ সিটি কর্পোরেশনে সর্বোচ্চ ভোটার রয়েছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৮ হাজার ৪২৫ জন এবং সর্বনিম্ন ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ২০৮ জন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষদিন ৯ জানুয়ারি।

দুই সিটি নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। সেদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর